বাংলাদেশ অতিক্রম করল চলি্লশ বছর। মননশীল ও গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশনা, এর মান এবং অবস্থা নিয়ে মূল্যায়ন হতেই পারে। যদিও কাজটি তেমন সহজ নয়। সারা বছরই মননশীল ও সৃজনশীল বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলা উপলক্ষেই প্রকাশিত হয় অধিকাংশ বই। মননশীল গ্রন্থের পাঠক ও প্রকাশনার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও সৃজনশীল গ্রন্থের পাঠক ও বিক্রির হার মননশীল গ্রন্থ অপেক্ষাও অধিক। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সৃজনশীল গ্রন্থের পাঠকদের নিকট শীর্ষ পর্যায়ের অবস্থান করে নিতে পেরেছেন হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এছাড়াও অনেকের উপন্যাস মানে ভালো হচ্ছে, বিক্রিও বাড়ছে। কবিদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সূত্রে কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনাও বেড়েছে। কিন্তু কাব্যের পাঠক সংখ্যাও বিক্রি ক্রমহ্রাসমান। শীর্ষস্থানীয় কিছু কবির বই চললেও অন্যদের কাব্যগ্রন্থ তেমন বিক্রি হয় না। কাব্যগ্রন্থের অধিক চাহিদা নির্মলেন্দু গুণ, আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, রফিক আজাদ, মহাদেব সাহা, হুমায়ুন আজাদ, মুহম্মদ নূরুল হুদার। এছাড়াও অনেকের কাব্যগ্রন্থ বিশালাকৃতির অবয়বে প্রকাশিত হয়েছে। মধ্য বয়সেই অনেকের নির্বাচিত কবিতা, শ্রেষ্ঠ কবিতা, শতকবিতা বেরিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন কবিদের কাব্যগ্রন্থের অনেক অনুবাদগ্রন্থ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাভাষার সম্ভার তাতে বেড়েছে। বাংলাদেশেই প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব কবিতার সোনালি শস্য, বিশ শতকের বিদেশি কবিতা, হাজার বছরের প্রেমের কবিতা, কবিতা দেশে দেশে, এশিয়ার কবিতা, আফ্রিকার কবিতা, স্বর্ণদীপিকা, হাজার বছরের বাংলা কবিতা।