পৃষ্ঠাসমূহ

সুস্থধারায় দিশা পাক রাজনীতি


রতনতনু ঘোষ বাংলাদেশের ওপর বৈশ্বিক দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত হয়েছে নানা কারণে। এক দশকের বাংলাদেশে রাজনীতি বেশ জটিল ও নেতিবাচক অধ্যায় অতিক্রম করেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট তথা ২০ দলীয় জোটের ভুল পথে পরিচালিত হওয়ার মাধ্যমে নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি ভয়ঙ্কর ও প্রবল রূপ ধারণ করেছিল। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সন্ত্রাস, দুর্নীতি, হত্যা ও লুণ্ঠন প্রবল রূপ ধারণ করে। জঙ্গি সন্ত্রাসের বিকাশ, সহিংস রাজনীতি ও উচ্ছেদ দেশটাকে নারকীয় তা-বের দিকে নিয়ে যায়। দুর্নীতিতে দেশের শীর্ষস্থান লাভ, সারাদেশে একযোগে বোমা ফাটিয়ে জেএমবির আত্মপ্রকাশ, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সংকীর্ণ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির কোণঠাসা হয়ে পড়ার ঘটনায় শুধু দেশবাসী নয় বিশ্ববাসীও উদ্বেগ প্রকাশ করে। মার্কিন সরকারের কালো তালিকাভুক্ত হয় বাংলাদেশ। ফলে আন্তর্জাতিক ও প্রভাবশালী মহল বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের গুরুত্ব অনুভব করে সংঘাতের বিপরীতে। পরবর্তী পর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি তুঙ্গে ওঠে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের নির্দলীয়-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসার আগেই শুরু হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি। সেই অসাংবিধানিক দাবি আওয়ামী লীগ সরকার মেনে নেয়নি। উপরন্তু আদালতের রায় মান্য করেই সংসদীয় দলগুলো এ বিষয়ে কোনোরূপ পরিবর্তন আনয়ন করেনি।



 বিএনপি-জামায়াত সংসদ বর্জন করে রাজপথের আন্দোলনে থেকে ক্রমাগত জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে ভাংচুর, সন্ত্রাস, লাগাতার হরতাল ও অবরোধের কারণে। সরকার কঠোরভাবে এসব ভাঙনবাদী ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি দমন করেছে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে সহিংস রাজনীতির মাত্রা বাড়ে। ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর যুদ্ধাপরাধের বিচার তৎপরতা বাড়ে। এ বিচার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করার জন্য গণজাগরণ মঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এবং স্বাধীনতা ও বাঙালি সংস্কৃতির পক্ষে জনসচেতনতার মাধ্যমে সৃষ্টি করে গণজাগরণ। শাহবাগ থেকে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। যুবঐক্যের বিস্তার ও প্রগতিতে ভীত হয়ে পাল্টা প্রতিরোধের জন্য আত্মপ্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম। তাদের ১৩ দফা দাবি আদায়ে শেষ পর্যন্ত মতিঝিলে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। বিএনপি ও জামায়াতের ইন্ধন ও পৃষ্ঠপোষকতায় হেফাজতে ইসলাম নির্বাচিত সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বায়তুল মোকাররম, মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকা অবরোধ করে রাখে। ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, বায়তুল মোকাররমে হামলা, বৃক্ষনিধন, ফুটপাতের বইয়ের দোকানসহ কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটায়। এমনকি ব্যাংকে অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটায়। এতে জনমত তাদের বিপরীত ধারায় চালিত হয়। '৭১ টিভির আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে সেসব ধ্বংসাত্মক দৃশ্য সরাসরি দেখানোর ফলে ধর্মপ্রাণ মানুষও বিভ্রান্তির অপচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ফেসবুকের অপপ্রচার, বস্নগার হত্যা, নাস্তিকবিরোধী আন্দোলন ও বৌদ্ধবিহারে অগি্নসংযোগের মাধ্যমে উত্তপ্ত রাজনীতি দেশের ভাবমূর্তি বিপন্ন করে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশে-বিদেশে চলে পুরোদমে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র। একদিকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইসলামী রাষ্ট্রগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ ও সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাবিতকরণ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। ফলে বৈদেশিক আয়ের প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার উপক্রম হয়। শেষ পর্যন্ত সরকারের পররাষ্ট্রনীতি বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়নে সফল তৎপরতা চালাতে সমর্থ হয়। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আবার উজ্জ্বল করে সরকার। বিডিআর হত্যাকা-ের স্বচ্ছ বিচার, যুদ্ধাপরাধের বিচার, আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধে সরকারের সুদৃঢ় ও কঠোর পদক্ষেপে রেহাই পায় গণতান্ত্রিক ধারা। গার্মেন্ট নিয়ে ষড়যন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শর্তারোপ ও কোটা বাতিলের হুমকি পেরিয়ে এলেও পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে দুর্নীতির আগাম অভিযোগের ষড়যন্ত্র চরম রূপ লাভ করে। ড. মুহম্মদ ইউনূসের তৎপরতা, বিএনপি-জামায়াত জোটের তৎপরতা মিলে সরকারকে বিশ্বে বন্ধুহীন ও নিরুপায় করার চেষ্টা চালায়। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় মনোভাব, নেতৃত্বের দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে রক্ষা হয় গণতান্ত্রিক ধারা ও সাংবিধানিক পন্থা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা রাজনীতিকে আবার সহিংস ও উত্তপ্ত করে তোলে। রাজপথে আন্দোলনের নামে নিরীহ ও সাধারণ নিরস্ত্র জনতার হত্যা, তাদের ওপর আক্রমণ ও বোমা নিক্ষেপ, গাড়ি ভাঙচুর ও জ্বালানোর ঘটনায় হতবাক হয় বিবেকবান মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ, পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেয়া, থানার অস্ত্র লুট, সংখ্যালঘুর ধর্মস্থানে আক্রমণ ও অগি্নসংযোগ, লুণ্ঠন-হামলা ন্যক্কারজনক রূপ ধারণ করে। এভাবে রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের বিমুখতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার ঘটনার তদন্তে সরকারের তৎপরতা বাড়লেও অব্যাহত থাকে বিএনপি-জামায়াতের নৃশংস রাজনীতি। বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত ও শিবিরের সহিংসতায় ধিক্কার বাড়ে। সরকারও নেতিবাচক ঐক্যজোটের রাজনীতি দমনে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। বর্তমানে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে রাজপথে হামলা এবং উসকানি ও সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এব ং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ে। চোরাগুপ্তা হামলা, বিদেশি হত্যা, যাজক, পুরোহিত, সেবায়েত ও ইমাম খুনের ঘটনায় জঙ্গিবিরোধী ক্ষোভ ও প্রতিবাদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত গুলশান হামলার ট্র্যাজেডি ও হত্যা এবং ঈদের জামাত চলাকালে শোলাকিয়ায় হত্যা ও হামলার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কল্যাণপুরে জঙ্গি প্রতিরোধের সফল উদ্যোগ নেয়। এরপর জঙ্গিবিরোধী প্রচারণা ও ১৪ দলের ঐক্যের ডাকে দেশব্যাপী সাড়া দেয় জনগণ। সাংবাদিক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মানববন্ধন, সভা, মিছিল-র‌্যালির পর স্থিমিত হয়ে পড়ে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাস। জঙ্গিবিরোধী ও সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতায় এগিয়ে আসে দেশের সর্বশ্রেণির মানুষ। দেশে আইএস আছে কিনা তা নিয়েও চলে দেশি-বিদেশি বিতর্ক। নিজস্ব অর্থায়নে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কার্যক্রম। তাতে বিশ্বব্যাংকের রাজনীতি ভাটা পড়ে। সুবিধা করতে পারেনি সংসদীয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট তথা ২০ দলীয় জোট। বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মামলায় পর্যদস্তু হয়েছে। নেতাকর্মীরা জেল খেটে এবং পালিয়ে রাজনীতির অঙ্গন থেকে বিদায় নিয়েছে। বিএনপির নতুন কমিটি গঠনের পর তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। যুদ্ধাপরাধীর সন্তান, মামলার আসামি আর দাগী সন্ত্রাসীরাও ঠাঁই পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের নিয়ে যে অর্বাচীন কমিটি হয়েছে তা নিয়ে দলের ভেতরেই আছে অসন্তোষ। এককালের ক্ষমতাসীন বিএনপি জামায়াত-শিবিরের সংসর্গ নিয়ে এখন ডুবন্ত জাহাজের মতো পরিস্থিতিতে আছে। জামায়াত-বিএনপি ত্যাগ না করায় এ দলের নেতারা সরে গেছেন। আরো অনেকে সরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। দলের ত্যাগী নেতাদের কোণঠাসা অবস্থা তো আছেই। উপরন্ত বিএনপির রাজনৈতিক আদর্শ ও গুণগত কোনো পরিবর্তন এলো না। জিয়া পরিবারের হাতে কেন্দ্রীভূত দলের ক্ষমতা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় নেতাকর্মীরা। ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতীয় শোকের দিনে অর্থাৎ ১৫ আগস্টকে অমর্যাদা করেছেন। শেষ পর্যন্ত পাসপোর্ট অনুযায়ী ০৫ আগস্ট জন্মদিন প্রকাশের পর থেকে ২০১৬ সালে এসে ভুয়া জন্মদিন পালনে বিরত হলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি কটাক্ষ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির জন্য অপপ্রচার বিরোধী আইন হওয়ার পর এখন বিএনপি বঙ্গবন্ধুর প্রতি কতটুকু শ্রদ্ধাশীল হয় তা দেখার বিষয়। জাতির জনক নিয়ে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে এবং স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস থেকে বেরিয়ে না এলে বিএনপির অপরাজনীতি দূর হবে না। উপরন্তু অসাংবিধানিক দাবিও ভারতবিদ্বেষনীতির রাজনীতি আবার চালু হলে বিএনপির রাজনৈতিক মরণদশা রোখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে অতীতে যেভাবে মানুষ হত্যা, এসিডসন্ত্রাস বিপন্ন করার তৎপরতা এবং অগি্নসন্ত্রাস জনজীবন বিপর্যস্ত করার তৎপরতা চলেছিল রাজনীতির নামে সে জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাননি দলের নেতারা। এজন্য ক্ষুব্ধ জণগণ ভোলেনি সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের অপপ্রয়াস ও জঙ্গিতৎপরতা। সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী কঠোর অবস্থান এবং 'জিরো টলারেন্স' ঘোষণা প্রশংসিত হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী সহিংস রাজনীতির বিপরীতে দেশের প্রবৃদ্ধি ০৭ ভাগে উন্নীত হওয়া, বিদেশি রেমিট্যান্স বেড়ে যাওয়া, বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নয়নের তৎপরতা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞাময় দৃঢ়তা তাকে বৈশ্বিক নারী নেতৃত্বের প্রতীকে পরিণত করেছে। এখন প্রয়োজন দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি চালু করা। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারায় দেশের রাজনীতিকে বেগবানকালে রাজনীতি গণনির্ভর দিশায় ফিরবে। এত নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক তৎপরতার পরও সরকারের সহিংষ্ণুতায় টিকে আছে বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের রাজনীতি। এ জোটের রাজনীতিতে সংশোধন না এলে এবং জনসম্পৃক্ততায়ন না ঘটলে রাজনৈতিক শঙ্কার অবকাশ থেকেই যাবে। জণগণের সমস্যাকে ইস্যু করে রাজনীতি না করে জনবিরোধী রাজনীতি এবং কেবল ব্যক্তিময় ও দলীয় ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করলে তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। জনগণের পক্ষে এবং উন্নয়নের পক্ষে রাজনীতি করলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়তে হবে। দেশের জনগণের স্বার্থকে গভীরভাবে বিবেচনা করতে হবে। জাতীয় স্বার্থ বিপন্নকারী রাজনীতি এ দেশে আর চলবে না। সরকারের জনস্বার্থমূলক কার্যক্রমকে সমর্থন না করে জনগণের বিরুদ্ধে রাজনীতি করলে সেই রাজনীতি টেকসই হবে না, সাড়া আনবে না জনমনে। ইস্যুবিহীন রাজনীতির ফলে ননইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে বিতর্ক তোলা গেলেও সেই রাজনীতি ভিত্তি পায় না জনমনে। রাজনীতির অসুস্থ ধারা এড়াতে হলে বিএনপির নেতাকর্র্মীদের দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন ও সংশোধন প্রয়োজন। সংবিধান, আইন, বিচার, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে রাজনীতিকে চালিত করা যাবে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ষড়যন্ত্র দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যায়। রাজনৈতিক অপপ্রায়স পেছনপন্থার রাজনীতি জনগণ মেনে নেয়নি, তা মেনে নেবে না কোনোদিন। শুভবুদ্ধির উদয় হোক এবং সুস্থ ধারায় দিশা পাক দেশের রাজনীতি। 
রতনতনু ঘোষ: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক
২৯ আগস্টের যায়যায়দিন, সম্পাদকীয় পাতার কলাম...  http://goo.gl/IM8dG0