আজকের সত্য আগামী দিনে মিথ্যা প্রমাণিত হবে : রতনতনু ঘোষ
বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতিতে উত্তরাধুনিক ধারণাটির কোনো সচেতন প্রয়োগ অথবা ব্যবহার কী আপনি চিহ্নিত করতে পেরেছেন ?
রতনতনু ঘোষ : বাংলাদেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি অনেক ব্যাপক ও বহুমুখি। আমরা আবহমান বাংলা ও যুক্তবঙ্গ পেরিয়ে পূর্ববাংলা এবং পূর্ববাংলা পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। বিগত ৪৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সাহিত্যের বিকাশ ও বিস্তার ঘটে চলেছে। বৃটিশ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী, ‘৪৭-এর পূর্বে ও পরে আর্থ-রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রবণতাসমূহ বাংলাদেশের সাহিত্যকে নিয়ন্ত্রিত ও বিকশিত করেছে। বাংলাভাষা বাঙালীর ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার, সংগ্রাম ও স্বপ্নকে বহন করে চলেছে। অথচ এ ভাষাকে নিয়ে বির্তক চলেছে যে, এটি হিন্দুর ভাষা, মুসলমানের নয়। কবি আব্দুল হাকিম বাংলাভাষা-দ্রোহীদের বিরুদ্ধে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন : ‘যে জন বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি !’
তৃতীয় শক্তি উত্থিত হয় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা, অসহযোগিতা ও অদূরদর্শিতার জন্য : রতনতনু ঘোষ
রতনতনু ঘোষ―প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও সমাজচিন্তক। তিনি ত্রিশ বছর ধরে দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখছেন রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে। তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা সাত শতাধিক এবং প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ৪৩টি। মানুষের স্বরূপ, স্বদেশ সমাজ সাহিত্য, রাজনীতিহীন রাজনীতি, মুক্তচিন্তা, বিশ্বায়নের রাজনীতি, ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ। তাঁর সম্পাদিত গ্রন্থ- নোবেল বিজয়ীদের নির্বাচিত প্রবন্ধ, উত্তরাধুনিকতা, বহুমাত্রিক বিশ্বায়ন, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র : স্বরূপ সংকট সম্ভাবনা, ৩৪ নোবেল বিজয়ীর সাক্ষাৎকার। পেশাগত জীবনে অধ্যাপনা করছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন বিষয়ে রতনতনু ঘোষ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন―শফিক হাসান
বাংলাদেশে মননশীল ও গবেষণামূলক গ্রন্থ
বাংলাদেশ অতিক্রম করল চলি্লশ বছর। মননশীল ও গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশনা, এর মান এবং অবস্থা নিয়ে মূল্যায়ন হতেই পারে। যদিও কাজটি তেমন সহজ নয়। সারা বছরই মননশীল ও সৃজনশীল বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলা উপলক্ষেই প্রকাশিত হয় অধিকাংশ বই। মননশীল গ্রন্থের পাঠক ও প্রকাশনার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। যদিও সৃজনশীল গ্রন্থের পাঠক ও বিক্রির হার মননশীল গ্রন্থ অপেক্ষাও অধিক। এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে সৃজনশীল গ্রন্থের পাঠকদের নিকট শীর্ষ পর্যায়ের অবস্থান করে নিতে পেরেছেন হুমায়ূন আহমেদ ও মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এছাড়াও অনেকের উপন্যাস মানে ভালো হচ্ছে, বিক্রিও বাড়ছে। কবিদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সূত্রে কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনাও বেড়েছে। কিন্তু কাব্যের পাঠক সংখ্যাও বিক্রি ক্রমহ্রাসমান। শীর্ষস্থানীয় কিছু কবির বই চললেও অন্যদের কাব্যগ্রন্থ তেমন বিক্রি হয় না। কাব্যগ্রন্থের অধিক চাহিদা নির্মলেন্দু গুণ, আল মাহমুদ, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক, রফিক আজাদ, মহাদেব সাহা, হুমায়ুন আজাদ, মুহম্মদ নূরুল হুদার। এছাড়াও অনেকের কাব্যগ্রন্থ বিশালাকৃতির অবয়বে প্রকাশিত হয়েছে। মধ্য বয়সেই অনেকের নির্বাচিত কবিতা, শ্রেষ্ঠ কবিতা, শতকবিতা বেরিয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন কবিদের কাব্যগ্রন্থের অনেক অনুবাদগ্রন্থ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাভাষার সম্ভার তাতে বেড়েছে। বাংলাদেশেই প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব কবিতার সোনালি শস্য, বিশ শতকের বিদেশি কবিতা, হাজার বছরের প্রেমের কবিতা, কবিতা দেশে দেশে, এশিয়ার কবিতা, আফ্রিকার কবিতা, স্বর্ণদীপিকা, হাজার বছরের বাংলা কবিতা।
সংবাদ-প্রতিদিন (বাংলাদেশ ও বিশ্ব)
ভোরের কাগজের আলোচনা সভায় বিশিষ্টজনরা : আলোচনাই আদিবাসী সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায়
ভোরের কাগজ : ১০/০৮/২০১২
কাগজ প্রতিবেদক : আলোচনার মাধ্যমে আদিবাসী বিষয়ক সমস্যার সমাধান করার আহŸান জানিয়েছেন বিশিষ্টব্যক্তিরা। আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবারভোরের কাগজ আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সেমিনার ‘উপজাতি/ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এবং আদিবাসী ভাবনা :প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ভোরের কাগজের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেনসম্পাদক শ্যামল দত্ত। আলোচনায় অংশ নেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষকমেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বপীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদুল হক মান্না, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী, ব্যারিস্টারমোনতাসির উদ্দিন আহমেদ এবং অধ্যাপক ও গবেষক রতনতনু ঘোষ। এ সময় ভোরের কাগজের বিজ্ঞাপনব্যবস্থাপক এস এম এ রাজ্জাক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুজন নন্দী, সার্কুলেশন ইনচার্জ তসলিম চৌধুরী, হিসাব প্রধানআবদুল করিম সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের কাগজ : ১০/০৮/২০১২
কাগজ প্রতিবেদক : আলোচনার মাধ্যমে আদিবাসী বিষয়ক সমস্যার সমাধান করার আহŸান জানিয়েছেন বিশিষ্টব্যক্তিরা। আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার ও সংস্কৃতি রক্ষার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তারা। গতকাল বৃহস্পতিবারভোরের কাগজ আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সেমিনার ‘উপজাতি/ক্ষুদ্র জাতিসত্তা এবং আদিবাসী ভাবনা :প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ভোরের কাগজের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেনসম্পাদক শ্যামল দত্ত। আলোচনায় অংশ নেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষকমেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বপীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদুল হক মান্না, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন পাটোয়ারী, ব্যারিস্টারমোনতাসির উদ্দিন আহমেদ এবং অধ্যাপক ও গবেষক রতনতনু ঘোষ। এ সময় ভোরের কাগজের বিজ্ঞাপনব্যবস্থাপক এস এম এ রাজ্জাক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুজন নন্দী, সার্কুলেশন ইনচার্জ তসলিম চৌধুরী, হিসাব প্রধানআবদুল করিম সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।