কবিতার উৎস আছে এখানে সেখানে সবখানে;
কবিতার অস্তিত্ব কবিতার বাইরে কিংবা ভেতরে নয়।
মচমচে কবিতা চাইলে প্রকৃতিলগ্ন হয়ে
বৃক্ষের শরীর বন্দনা কর;
তার ইতিহাস নাও; বেঁচে থাকার
কিংবা রূপান্তরের ইতিকথা লিখো।
বারুদভরা বিস্ফোরক কবিতা পেতে হলে
বঞ্চিতের হাহাকার ধ্বনিত করো, বৈষম্যের পাহাড় উদ্ঘাটন করো।
নিরন্নদের দ্রোহ কিংবা অগ্নিদগ্ধের আহাজারি ফুটিয়ে তোলো।
শীর্ষ কবিতার স্বাদ নিতে হলে মানুষের মর্মবাণী ধারণ করো;
অনুভূতির শিরা-উপশিরায় জাগ্রত করো সৃষ্টির উৎকর্ষ ও প্রাচুর্য;
বিপন্নদের আর্তনাদকে ভাষা দাও; দলিতের বেদনা রঞ্জিত করো
চেতনার বহুরঙা অনুভূতি শব্দের পরিসরে সাজাও।
প্রেমের কবিতার ঘ্রাণ নিতে হলে চিত্রময় প্রকৃতি, রূপসী নারী;
কিংবা শিশুর সারল্যে নিজেকে মগ্ন করো, মুগ্ধ করো;
নিজেকে গভীর করো, অতলের অস্তিত্ব অনুভব করো
বাসনার শূন্য ভা পূর্ণ করো ভাবের ব্যঞ্জনায়;
স্নিগ্ধ-সতেজ কবিতা চাইলে মানুষের কান্না দ্রবণ করো শব্দে;
হাসির প্রশান্ত গভীরতা বিকিরণ করো নিরবে;
নিজের নির্জনে গিয়ে ধারণ করো স্রষ্টা ও সৃষ্টির মহিমা;
বিস্ময়ের বর্ণিলতা ভেদ করে রহস্য তুলে ধরো আত্মদ্রাঘিমায়;
উপলব্ধির আলোকোজ্জ্বল ধরণীকে ধারণ করো তোমার ক্যানভাসে।
পশুপাখি ও জীবপ্রজাতির নানা অনুষঙ্গ উচ্চকিত করো চেতনার ঐশ্বর্যে
বিশ্বপ্রকৃতি কবিতার ঘর; মানবপ্রকৃতিসহ কেউ নয় কবিতার পর
কবিতার শস্যরাশি কবিভাষ্যে হোক শব্দায়ন।
নাটমণ্ডল সংলগ্ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ০২.০৭.২০১৪
নাটমণ্ডল সংলগ্ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ০২.০৭.২০১৪