পৃষ্ঠাসমূহ

প্রকৃতিদ্রোহ

রতনতনু ঘোষ

প্রকৃতির কাছে এলাম সহসা জরুরি আকর্ষণে;
চেনা নদী অচেনা হলো বহু বছর পর,
শহরজুড়ে বাড়ি গাড়ি তার উপর।
তাকিয়ে দেখি নদীটি নেই; আছে নদীর লাশ।
প্রশস্ত নদী চিলতে ছিলো; শীর্ণ নদী মরে গেলো।

---জীবনের পরিসর---

রতনতনু ঘোষ


নিজে দেখতে পারো কিংবা অন্যকে দেখাতে পারো ফুল, পাখি, নদী ও নারী
অথবা প্রকৃতির বিস্ময়; জীবনের প্রতি ভালোবাসা হতে প্রকৃতিপ্রেম সবই।
দেখার কিংবা দেখানোর ক্ষমতা নিয়েও যারা অন্ধ থাকে, সচেতনভাবে উপেক্ষা করে নিজেকে
তারা কি আত্মান্ধ? তারা কি জীবনপ্রেমী না প্রকৃতিপ্রেমিক!
যে যাই বলে বলুক, আত্মচেতনার স্পর্শময় অনুভূতি উপেক্ষা করো না
জীবনের উর্বর ভূমিতে থেকে নিজেকে নিষ্ফলা রেখো না, ভূমিকাহীন থেকো না

দ্বিমেরু অবস্থান

রতনতনু ঘোষ

একবার ঘৃণার তুফান এলে ভালোবাসা আর হয় না সহজে;
মানুষ মাত্রই ঘৃণা আর ভালোবাসার দ্বিমেরু সহাবস্থানে।
কাকে ভালোবাসা যায় আর কাকে নয় তা সবার ব্যক্তিগত;
মানুষ হয়ে মানুষের বিরুদ্ধে, শান্তির বিরুদ্ধে যাওয়া
প্রিয়জন হয়ে প্রিয়জনের বিরুদ্ধে যাওয়া এ বড় দুঃসহ।

গণদুষমন

রতনতনু ঘোষ

"গণদুষমন"

দানব হলে মানবশাসক দূর হবে না দুঃশাসন
বাড়বে শোষণ-নির্যাতন; বিপন্ন হবে মানুষের মর্যাদার আসন।
রাজনীতি নগদনীতি, মানুষ মেরে সহিংসতায় প্রীতি;
অরাজক পরিস্থিতি হত্যা খুন আর গুমে মানুষের যত ভীতি।
গণদুষমনদের আশ্বাসে বিশ্বাস নেই, ভরসা নেই অঙ্গীকারে;
তারা কখনো ভাষণে ভীষণ, কখনো গ্রেফতার হয়ে কারাগারে।
কিছু বামের আছে দুর্নাম; বিএনপি ওরফে জামায়াতের নেই সুনাম;
দল বদলকারী সন্ত্রাসী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও বদনাম।

হাতিরপুল বাজার, ঢাকা; ১১ জুন, ২০১৪

স্বার্থপর


তুমি ছিলে প্রিয়জন শুভাকাক্সক্ষী বন্ধু অনেকের
প্রিয় কথা শোনাতে, অপ্রিয় কাজ এড়াতে।
অন্যের পছন্দ আর আগ্রহের বিষয় জানতে;
ভালোবেসে অন্যের শূন্যতা পূরণ করতে।

এখন নিজে ভালো থাকতে চাও; ভালো খেতে-পরতে চাও;
ভালো করতে চাও না অন্যের; ভালো হতে চাও না নিজে।
অন্যকে বঞ্চিত করে পেতে চাও নিজের সমৃদ্ধি;
অন্যের ক্ষতির বিনিময়েও আত্মস্বার্থ লাভে তৎপর হও।