পৃষ্ঠাসমূহ

---জীবনের পরিসর---

রতনতনু ঘোষ


নিজে দেখতে পারো কিংবা অন্যকে দেখাতে পারো ফুল, পাখি, নদী ও নারী
অথবা প্রকৃতির বিস্ময়; জীবনের প্রতি ভালোবাসা হতে প্রকৃতিপ্রেম সবই।
দেখার কিংবা দেখানোর ক্ষমতা নিয়েও যারা অন্ধ থাকে, সচেতনভাবে উপেক্ষা করে নিজেকে
তারা কি আত্মান্ধ? তারা কি জীবনপ্রেমী না প্রকৃতিপ্রেমিক!
যে যাই বলে বলুক, আত্মচেতনার স্পর্শময় অনুভূতি উপেক্ষা করো না
জীবনের উর্বর ভূমিতে থেকে নিজেকে নিষ্ফলা রেখো না, ভূমিকাহীন থেকো না

জীবনের বহুত্বময় মাঠে চাষ করো সুন্দর, প্রেম, স্বপ্ন, আশা ও অন্বেষা।
তাৎপর্যের পরিসরে আদিগন্ত ছুটে যেতে হবে নতুন নির্মাণে;
বহুফসলা জীবন সক্রিয় চাষির হাতে থাকে সবুজ ও সতেজ;
দুর্ভার পাথরবাহীরা মরুময় জীবনের ক্লান্ত পথিক, তারা বিশ্রামের অপেক্ষায়।
জীবনের রহস্যময় জ্যামিতি এঁকে নিজেকে প্রকাশ করেন জীবনশিল্পী;
এ মহা সামর্থ্যরে অর্জন প্রচেষ্টার অধীন।
জীবনের শূন্য পরিসর পূর্ণ করা, অর্থহীনতাকে তাৎপর্যময় করা
জীবনশিল্পীর কাজ। সবাই শিল্পী নয়; শিল্পের উপকরণ
থাকে সবার সত্তায়। প্রীতিময় জীবনের প্রতি পর্ব তাৎপর্যময়;
সানন্দে পথ চলেন জীবনবাদী নিত্যজয়ের নেশায়।

শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা; ১০ জুন, ২০১৪